
* তিস্তায় বাড়ছে পানি ভারতে রেড অ্যালার্ট, বাংলাদেশেও সতর্কবার্তা * ভারী বর্ষণ-বাতাসে সাজেকে ভেঙে গেছে পাঁচ বসতঘর * হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রীসহ ট্রলার ডুবি
টানা বৃষ্টিতে লোকালয়ে ঢুকছে পানি
- আপলোড সময় : ০১-০৬-২০২৫ ০২:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন
- আপডেট সময় : ০১-০৬-২০২৫ ০২:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন


দেশের বিভিন্ন এলাকায় তিন দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এরইমধ্যে সবচেয়ে আলোচনায় এসেছে হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রীসহ ট্রলার ডুবি। তবে সারা দেশে টানা বৃষ্টিতে জনজীবন ব্যাহত। বঙ্গাপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে ঘনীভূত গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে প্রবেশ করে বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে। গত তিন দিন ধরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ ঢাকা কালো মেঘে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা তিস্তায় পানি বৃদ্ধি। এতে ভারতে ‘রেড অ্যালার্ট’, বাংলাদেশেও সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। তারা বলছেন, স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে এই বৃষ্টি আজ রোববার পর্যন্ত চলতে পারে, এরপর বৃষ্টিপাত কিছুটা কমবে।
গতকাল শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ, পরে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়াতেই এই বৃষ্টির শুরু। তবে রাজধানীতে সকাল থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় বেড়ে যায় ভ্যাপসা গরম। এতে অস্বস্তি বাড়ে নগরজীবনে। তবে দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকলেও বিকেলে বৃষ্টিতে স্বস্তি দিয়েছে জনজীবনে।
গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাজধানীর আগারগাঁও, মিরপুরসহ অনেক এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর বিকেল ৪টা থেকে বৃষ্টি বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বৃষ্টির সঙ্গে মেঘের গুঞ্জন রয়েছে। তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রাতেও থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে। আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমতে পারে। পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমও থাকতে পারে।
এদিকে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে সাগর উত্তাল। বয়ে যাচ্ছে ঝড় বৃষ্টি ও প্রচণ্ড বাতাস নিম্নচাপের প্রভাবে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শনিবারও সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। রাতে ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়। একইসঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের প্রভাবে কয়লাবাহী একটি কার্গো জাহাজ উঠান মাঝির ঘাট এলাকায় মসজিদ সংলগ্ন চরে উঠে যায়। ওই সময় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এরআগে গত শুক্রবার সকালে সেখানে উৎসুক জনতার ভিড় জমে। তবে উপকূলে উঠে আসা এ কার্গো জাহাজে কোনো মালামাল ছিল না। জাহাজটির ওয়াচম্যান মিসকাতুর রহমান বলেন, আমরা বাঁশখালীর গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা খালাস করে ফিরে যাওয়ার সময় ঝড়ের কবলে পড়ি। পরে সমুদ্রের জোয়ারের প্রভাবে উপকূলের চরে আটকে পড়ে। তিনি জানান, তাদের জাহাজটি দুবাই মালিকানাধীন এক কোম্পানির, তারা কয়লা নিয়ে বাঁশখালী গন্ডামারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে যায়।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ভারতে ‘রেড অ্যালার্ট’, বাংলাদেশেও সতর্কবার্তা : ভারতের সিকিমে টানা ভারি বৃষ্টির মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বাড়তে থাকায় ‘রেড অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া দফতর। বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে সিকিম রাজ্যের মাঙন, গ্যালশিং ও সোরেং জেলায়।
এদিকে, তিস্তায় পানি বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশেও সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। তথ্য বলছে, সিকিম হিমালয়ের চিতামু হ্রদ থেকে সৃষ্টি নদী তিস্তা ভারতের সীমানা পেরিয়ে নীলফামারী জেলার কালীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। ফলে তিস্তার উজানে বন্যা দেখা দিলে তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ে।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলেছে, রংপুর বিভাগে তিস্তার সঙ্গে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি বিপৎসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। উজানে ভারি বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগেও নদনদীর পানি আগামী দুইদিন বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে। ভারতের পত্রিকা ইকনোমিক টাইমস লিখেছে, শনিবার সকালে বালুওয়াখানি, গ্যাংটক থেকে পাওয়া ‘নাওকাস্ট’ সতর্কবার্তায় সকাল ৬টা ১৫ মিনিট থেকে দুই থেকে তিন ঘণ্টা ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়।
গ্যাংটকের জেলা প্রশাসকের জারি করা জরুরি এক ঘোষণায় বলা হয়, জনসাধারণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য জানাবে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, মাঙন জেলায় রেড অ্যালার্ট জারির প্রেক্ষিতে গ্যাংটকের অন্তর্গত দিকচু থেকে সিংতাম পর্যন্ত তিস্তা নদী অববাহিকায় বন্যার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সে কারণে তিস্তা নদীর অববাহিকায় কর্মরত মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে গ্যাংটক জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তাকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরুরি কোনো পরিস্থিতি ঘটলে জেলা নিয়ন্ত্রণ কক্ষে বা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রধানদের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে কর্মকর্তাদের। উজানে ভারি বৃষ্টির প্রভাবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের নদীর পানি আগামী দুই দিন বাড়তে পারে বলে আভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, সিলেট বিভাগের নদীর পানি এখনও বাড়ছে। তিনি বলেন, উজানে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সিলেট ও মনসিংহ বিভাগের নদীর পানি আগামাী দুই দিন বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। তৃতীয় দিন থেকে কমতে পারে। চট্টগ্রাম বিভাগের নদীগুলোর পানি কাল থেকে কমতে পারে।
বন্যার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সারিগোয়াইন, যাদুকাটা, ধলাই, সোমেশ্বরী ও মনু নদীর পানি আগামী দুইদিন বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। এই সময় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও মৌলভীবাজার জেলায় নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরির ঝুঁকি রয়েছে। সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ছে, এ পরিস্থিতি আগামী দুইদিন অব্যাহত থাকতে পারে। পরের দিন কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। রংপুর বিভাগের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি আগামী তিন দিন বাড়তে পারে এবং তিস্তার পানি সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিভাগের গোমতী, মুহুরী, ফেনী, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরী নদীর পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরের দুই দিন কমতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা অববাহিকায় নদীর পানি পাঁচ দিন বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র-যমুনা অববাহিকার নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হলেও আগামী পাঁচ দিন বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমার নিচেই থাকার আভাস মিলেছে।
ভারী বর্ষণ-বাতাসে সাজেকে ভেঙে গেছে পাঁচ বসতঘর : ভারী বৃষ্টি আর বাতাসে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে বসতঘর ভেঙে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় পাঁচটি পরিবার। তবে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাজেক ইউনিয়নের ভারত সীমান্তবর্তী আট নম্বর ওয়ার্ডের নিউ থাংনাং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বৃষ্টি আর বাতাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এসব ঘরবাড়ি। তবে স্থানীয় যুবক নলেন কান্তি ত্রিপুরা জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রচুর বৃষ্টি ও বাতাসে আমাদের পাড়ার পাঁচটি বসতঘর ভেঙে গেছে। কারো বাড়ির ছাউনি ভেঙে গেছে, কারো পুরো বাড়ি ধসে পড়ছে। কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ঘরে থাকা জিনিসপত্র, ধান নষ্ট হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত সবাই জুমচাষী।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার জানান, এ ধরনের খবর এখনো পাইনি। খোঁজ নিয়ে জানবো এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ৩৯ যাত্রীসহ ট্রলার ডুবি : নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর থেকে করিম বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মেঘনা নদীতে ঝড়ো বাতাস ও ঢেউয়ের তোড়ে পড়ে একটি যাত্রীবাহী বোট ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৩৯ জন যাত্রী ছিল। এ ঘটনায় ৩০ জন উদ্ধার হলেও এখনো ৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা যায়।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার করিম বাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.কুতুব উদ্দিন ও হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে ভাসানচর থেকে ৪ জন পুলিশ সদস্য, রোহিঙ্গা রোগী, আনসার সদস্য ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার লোকসহ ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার হরণী ইউনিয়নের আলী বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে ভাসানচর থেকে ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে গিয়ে করিমবাজার সংলগ্ন ডুবারচরের মেঘনা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। তাৎক্ষণিক ভাসানচর থানার ওসি বিষয়টি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ডকে জানান।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। এর মধ্যে ১৯ থেকে ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ২ পুলিশ সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছে। কোস্টগার্ড বর্তমানে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরে মেঘনায় ভাসছে মৃত গবাদিপশু, নিখোঁজ শতাধিক : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এর ফলে নদীর মাঝামাঝি ও আশপাশের চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়ে। পানির প্রবল ঢেউ ও স্রোতে ভেসে গেছে বহু গরু ও মহিষ। শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় অন্তত আটটি গরু ও মহিষের মৃতদেহ নদীতে ভেসে থাকতে দেখা যায় বলে জানান স্থানীয়রা। তাদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে হঠাৎ জোয়ারের তোড়ে চরাঞ্চলে থাকা গবাদিপশু হারিয়ে যায়। কিছু মহিষ পানির স্রোতে ভেসে তীরে চলে এলে স্থানীয়রা সেগুলো উদ্ধার করেন। তবে ঠিক কত সংখ্যক গবাদিপশু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে বিষয়ে এখনো জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য জানানো হয়নি।
নবীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা মো. শাহজাহান বলেন, শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে আমি অন্তত ২৬টি গরু ও মহিষের মৃতদেহ নদীতে ভাসতে দেখি। চরলরেঞ্চ এলাকার জেলে আবদুল কাদের জানান, শুক্রবার সকালে কমলনগরের নাছিরগঞ্জের বাত্তির খাল মাছঘাট থেকে নবীগঞ্জ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নদীতে বেশ কয়েকটি গবাদিপশুর মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখা গেছে। এর মধ্যে দুটি ছিল ছাগল। চর আবদুল্লাহর বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে জোয়ারের সময় শত শত গরু-মহিষ নিখোঁজ হয়েছে। আরেক বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন জানান, আমার পাশের বাড়ির একজনের তিনটি গরু ও তিনটি ছাগল এবং আরেকজনের দুটি মহিষ জোয়ারে ভেসে গেছে।
সাগরে নিম্নচাপে বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল সেবা বিঘ্নিত : সাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বৃষ্টিপাতের ফলে দেশের অনেক জেলা প্লাবিত হয়ে গেছে। বিদ্যুৎহীন হয়ে বিভিন্ন স্থানে মোবাইল যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। এতে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুকে পোস্টে পাঁচ হাজারের বেশি টাওয়ার বা সাইট অচল হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। তবে মোবাইল অপারেটর সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অচল হওয়া টাওয়ারের সংখ্যা অন্তত ১৩ হাজার। এর মধ্যে গ্রামীণফোনের ৪ হাজার ৪৭৪টি, বাংলালিংকের ৩ হাজার ২০টি এবং রবির ৫ হাজার ৫০০টি সাইট রয়েছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেসবুক লিখেছেন, নিম্নচাপজনিত ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতির কারণে সারা দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক পুনরুদ্ধার করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুৎসহ টেলিযোগাযোগ সেবার কর্মীরা। তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী লিখেছেন, দুর্যোগের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে বরিশাল, দক্ষিণ সিলেট, টাঙ্গাইল, চাঁদপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা উত্তর, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও দক্ষিণ চট্টগ্রামে। এসব এলাকায় বিদ্যুৎসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ